মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরে হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা

মালেশিয়া ও সিঙ্গাপুরে কর্মরত বাংলাদেশীরা পাসপোর্ট পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে গড়ে ওঠা দালালচক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে প্রবাসীরা। জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাসপোর্ট দিতে বিলম্ব এবং হয়রানি না করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, মালয়েশিয়ায় গত ৫ মাসে ৬৭ হাজার ৭৫১ টি পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়া হয়েছে। এর ফলে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ৭২৬ টাকা। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশের হাই কমিশনে গিয়ে প্রবাসীরা প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করে পাসপোর্ট নবায়ন করছেন।

বৈঠকে জানানো হয়, সিঙ্গাপুরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে গত মাসে ২ হাজার ২৮৬টি এনরোলমেন্ট, ৩ হাজার ৭৯টি পাসপোর্ট প্রাপ্তি এবং ২ হাজার ৭২২ পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। সেখানকার হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং একাজ করছে।

বৈঠকে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে অবস্থানকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট ও ভিসা নবায়ন কাজ আরও গতিশীল ও সহজতর করা এবং মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সম্প্রসারণে কার্যকর নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে জানানো হয়, মালেশিয়ায় পাসপোর্ট নবায়নের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে ২০ জন কম্পিউটার অপারেটর ও দুই জন কর্মকর্তা কাজ করছেন। তারা রোস্টার অনুযায়ী সেখানে দুইমাস থাকেন। কমিটির সদস্য ফখরুল ইমাম সম্প্রতিককালে তার মালেশিয়ার সফরের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, সেখানে নেপালীরা সিকিউরিটির কাজ করে।

এই সেক্টর তাদের দখলে। কিন্তু মালেশিয়া চাচ্ছে মুসলমানরা অর্থাৎ বাংলাদেশিরা একাজ করুক। কিন্তু এ ব্যাপারে বাংলাদেশে সরকার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে তিনি জানান। এছাড়া প্রবাসীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট পাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ করেন। কারণ বাংলাদেশে থেকে পাসপোর্ট যেতে দেরি হচ্ছে।

কমিটি মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সমন্বয় বাড়িয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা নবায়নের সময়সীমা বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করে। এছাড়া হাইকমিশনে পাসপোর্ট ও ভিসা নবায়নের ফি একটি হিসাব কোডের মাধ্যমে পরিচালনা করার সুপারিশ করে।